পাইথনে ডেটা টাইপ এবং ভ্যারিয়েবল (পর্ব-২)


যেকোনো প্রোগ্রামিং ভাষায় কাজ করার জন্য ডেটা টাইপ এবং ভ্যারিয়েবলের ধারণা থাকা জরুরি। ডেটা টাইপ হচ্ছে যে তথ্য বা উপাত্ত নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, তার প্রকারভেদ। সহজে ব্যাপারটি এভাবে দেখা যায়, আমি একজন বাংলাদেশি, এটি হচ্ছে কতগুলো অক্ষরের সমন্বয়ে তৈরি একটি বাক্য, আবার ১০০০, ২৫০০০ ইত্যাদি হচ্ছে সংখ্যা। পাইথন প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে বাক্য বা অক্ষরের ডেটা টাইপ হচ্ছে স্ট্রিং এবং সংখ্যার জন্য তা হচ্ছে নম্বর। এ ছাড়া রয়েছে বুলিয়ান, যেটা দিয়ে কোনো শর্ত সত্য না মিথ্যা তা নির্ণয় করা হয়। ভ্যারিয়েবল হচ্ছে তথ্য (ডেটা) সংরক্ষণ করার একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। ভ্যারিয়েবলে ডেটা রেখে আপনি বিভিন্ন গাণিতিক এবং যৌক্তিক কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। তাহলে পাইথন চালু করে লিখে ফেলুন নিচের লাইনগুলো (প্রতি লাইনের পর এন্টার করুন)।

num1 = 5600

num2 = 6500

num1+num2

(এখানে আউটপুট দেখাবে)

country = “Bangladesh”

print(“I live in ” + country)

(এখানে আউটপুট দেখাবে)

ভ্যারিয়েবল নামকরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। নাম অবশ্যই কোনো অক্ষর দিয়ে শুরু করতে হবে, সংখ্যা বা অন্য কিছু দিয়ে শুরু করা যাবে না এবং ভ্যারিয়েবলের নামে অক্ষর কিংবা সংখ্যা বা আন্ডারস্কোর (-) ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া লক্ষণীয় যে বড় হাতের অক্ষর এবং ছোট হাতের অক্ষরে লেখা ভ্যারিয়েবল এক নয়। যেমন— num1, Num1 এবং NUM1 তিনটি আলাদা ভ্যারিয়েবল নির্দেশ করে। লক্ষ করুন, ডেটা টাইপ স্ট্রিং হলে তা উদ্ধৃতি চিহ্নের (“ ”) ভেতরে লিখতে হবে। যাঁদের জাভার মতো প্রোগ্রামিং ভাষায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁরা লক্ষ করুন, পাইথনে ভ্যারিয়েবলের টাইপ ডিক্লেয়ার করার কোনো প্রয়োজন নেই।