চলুন ল্যাপটপ অভার হিটিং থেকে রক্ষা করার কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় জেনে নেই :-
*পাওয়ার সেটিং- আমরা যখন চার্জ দেয়ার সময়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করি, তখন পাওয়ার সেটিং থাকে “High Performance”. এই সেটিং ল্যাপটপে সর্ব্বোচ্চ পাওয়ার ব্যবহার করে, যার ফলে ল্যাপটপ অভারহীট হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে পাওয়ার balanced or power saver mode সেটিং ব্যবহার করলে ল্যাপটপ অভারহীট হবার ভয় অনেক কমে যায়।
** সারফেস- আমরা সাধারণত বালিশ কিংবা কম্বল কিংবা বিছানার উপর লাপটপ রেখে কাজ করতে কমফোর্ট ফিল করি। কিন্তু এতে দেখা যায় সারফেসে কুলিং ভেন্টস গুলো বন্ধ হয়ে যায় এর ফলে হীট বাইরে বের হতে না পেরে আবার মেইনবোর্ডে ফিরে যায় এবং ল্যাপটপ অভারহীট হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় ল্যাপটপিটি কোন শক্ত কিছুর উপর যেমন- টেবিল, শক্ত মলাটের বই বা এই রকম অন্য কিছুর উপর রেখে ব্যবহার করলে বাতাসের প্রবাহ ঠিক থাকে এবং ল্যাপটপ ঠান্ডা থাকে।
***কম্প্রেসেড এয়ার- নোংরা পরিবেশে কিংবা বেশি বাতাসের মধ্যে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে cooling vents গুলোতে ময়লা/ ধুলাবালি জমে যায়। এর ফলে কুলিং সিস্টেম প্রসেসর ঠান্ডা করতে পারে না, যার ফলে ল্যাপটপ অভারহীট হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে কম্প্রেসেড এয়ার এর একটি ক্যান কিনে মাঝে মাঝে কুলিং ভেন্টস গুলোতে স্প্রে করলে ডাস্ট ক্লিন হয়ে যায় এবং ল্যাপটপ ঠান্ডা রাখে।
****কুলিং প্যাড- বর্তমানে ল্যাপটপ অভারহীটিং সমস্যা প্রকট হওয়ায় মার্কেটে কুলিং প্যাড পাওয়া যাচ্ছে, যার মূল্য খুবই কম। এটি ব্যবহারে আপনার ল্যঅপটপটি অভারহীটি থেকে অনেকাংশই রক্ষা পাবে।
***** পাওয়ার বন্ধ রাখা- যখন ল্যাপটপে কাজ করবেন না, তখন অবশ্যই পাওয়ার অফ রাখুন। পাওয়ার অফ রাখলে ল্যাপটপ ঠান্ডা থাকে এবং ব্যাটারীর অপচয় কম হয়। standby অথবা “hibernate” অপশন ব্যবহার না করাই ভালো।
সব শেষ কথা হল আমাদের দেশে যেহেতু বিদ্যুৎ ঘন ঘন আসা যাওয়া করে তাই ল্যাপটপ চার্জ করার দিকেও আপনাকে মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত দরকার।আপনার এলাকায় যে সময়টি তে কারেন্ট কম আসা-যাওয়া করে আপনার উচিৎ সেই সময় আপনার প্রিয় ল্যাপটপ এর চার্জ পর্যাপ্ত পরিমানে করে রাখা।তবে যদি এটা না হয় তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি ভোল্টেজ স্টেভিলাইজার ব্যবহার করতে পারেন।